Header Ads

সিরিয়া যুদ্ধের #রহস্য 2011 সাল থেকে শুরু - দেখুন বিস্তারিত





২০১১ সালে সিরিয়াকে কেন্দ্র করে বিশ্বে যে জটিল যুদ্ধের সৃস্টি হয়েছে তা ক্রমশ জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে এবং পরেক্ষ পক্ষ গুলো প্রত্যক্ষ্য ভাবে জড়িয়ে পড়ছে। পশ্চিমা নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া গুলো স্বভাবতই মধ্যপ্রাচ্যের এবং উপমহাদেশীয় অন্চলের মানুষের কাছে এর মূল কারন প্রকাশ করছেনা বরং ভুল তথ্য দিয়ে এতই বিভ্রান্ত করছে যে আমাদের সাধারন মানুষের মনে এমন প্রশ্ন আসছেই না যে,
১। কেনো বাশার আল আসাদ কে সরাতে #আমেরিকা এত মরিয়া হয়ে উঠেছে? কি স্বার্থ তার?
২। কেনো #কাতার (এবং সৌদী)এত অর্থ ব্যয় করছে #আসাদ কে সরাতে? কাতারের ই বা কি স্বার্থ?
৩। #ইসরাইল ই বা কেনো আসাদের উচ্ছেদ কে সমর্থন করছে?
উপরোক্ত তিনটি প্রশ্ন পাঠকের মাথায় একটি জটিলতা সৃস্টি করবে তা হোলো সুন্নি শাসিত #মুসলিম দেশ গুলোর স্বার্থের সাথে পাশ্চাত্যের স্বার্থ কিভাবে এক হয়ে গেলো আসাদের উচ্ছেদ কে কেন্দ্র করে? আসুন উত্তর টা খুঁজে বের করার চেস্টা করি।
আমরা জানি আসাদ কে উচ্ছেদ প্রচেস্টায় সবচেয়ে বেশি অর্থের যোগানদাতা হলো কাতারের রাজ পরিবার ( #সৌদী সমর্থীত)। ৩০০ কোটি ডলারের উপর খরচ করে ফেলেছে কাতার। কিন্তু কেনো? কারন সেই গ্যস। জ্বালানি ব্যবসার নিয়ন্ত্রন নিয়ে বিশ্ব মেতে উঠেছে এমন মরন খেলায় যাতে প্রান হারাচ্ছে লক্ষ লক্ষ নিরপরাধ মানুষ।
বর্তমানে কাতার বিশ্বের ৩য় বৃহত্তম গ্যসের মজুদের অধীকারি। কিন্তু ভৌগলিক কারনে ইউরোপের বাজারে গ্যস রপ্তানিতে একচ্ছত্র আধীপত্ব রাশিয়ার। যার উপর ভর করে দাড়িয়ে গেছে রাশিয়ার ট্রিলিয়ন ডলারের ইকোনোমি। হুহু করে বিশ্ব রাজনিতীতে বেড়ে চলেছে রাশিয়ার আধীপত্ব। ক্রিমিয়া এবং ইউক্রেইনে তা স্পস্ট। উপরন্তু #রাশিয়া অত্যন্ত পরাক্রমশালী পারমানবিক শক্তিধর রাস্ট্র। তাই রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান আধিপত্ব খর্ব করতে হলে সবচেয়ে প্রথমে ইউরোপের প্রয়োজন জ্বালানির জন্য রাশিয়ার উপর নির্ভরশীলতা কমানো। তাই কাতারে মজুদ বিশাল গ্যসই ইউরোপ সহ পশ্চিমা দেশ গুলোর জন্য সবচেয়ে উত্তম বিকল্প। কারন যুক্তরাস্ট্রের জায়েন্ট জ্বালানী কোম্পানি এক্সন, হেলিবার্টন, কনোকা, ফিলিপ্স কাতারে বিশাল বিনিয়োগকারি প্রতিস্ঠান।
বর্তমানে ইউক্রেইনের উপর দিয়ে পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্যস সর্বরাহের মাধ্যমে রাশিয়া পশ্চিম ইউরোপের জ্বালানি বাজার নিয়ন্ত্রন করছে। অর্থাৎ নিজেদের শিল্প গুলো টিকিয়ে রাখতে ইউরোপ কে রাশিয়ার মন মর্জির উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। যদিও ইউরোপ চায় রাশিয়ার বর্তমান আধিপত্ব খর্ব করতে কিন্তু জ্বালানি নির্ভরতার কারনে তাদের সেই সাহস নেই।
এক দশক আগে জ্বালানি ব্যবসায় রাশিয়ার একচ্ছত্র আধীপত্ব খর্ব করতে ন্যটোভুক্ত পশ্চিম ইউরোপ এবং মার্কিন জ্বালানী কোম্পানি গুলো এক বিশাল পরিকল্পনা হাতে নেয়। তা হলো বর্তমান মিশরিয় " আরব পাইপলাইন" ব্যবহার করে #ইরাক #সিরিয়া ও তুরস্কের উপর দিয়ে সরাসরি পশিচিম ইউরোপে গ্যস পাইপলাইন টেনে কাতার সহ গালফ রাস্ট্র গুলোর থেকে গ্যস আমদানি করা। যার ফলাফল হবে নিম্নরুপ:
১। অত্যন্ত দ্রুত গতিতে গ্যস বিক্রি করে লাভবান হবে কাতার এবং কাতারে বিনিয়োগকারি মার্কিন প্রতিস্ঠান গুলো।
২। পাইপ লাইন ফী এবং ইউরোপের প্রধান ডিস্ট্রিবিউশন পয়েন্ট বা প্রবেশ দ্বার হিসেবে প্রচুর অর্থ এবং কৌশল গত সুবিধা পাবে তুরস্ক।
৩। পশ্চিম ইউরোপে রাশিয়ান গ্যসের বিকল্প পাওয়ায় পশ্চিম ইউরোপের উপর সম্পূর্ন ভাবে প্রভাব হারাবে রাশিয়া। জ্বালানি ব্যবসায় ধ্বসের কারনে বিপর্যস্ত হয়ে যাবে রাশিয়ান অর্থনিতী। হারানো গৌরব ফিরে পাওয়ার সোভিয়েত স্বপ্ন হয়ে যাবে ধূলিস্যাৎ।
৪। সিরিয়ায় সৌদীর অনুগত সরকার থাকলে ভাতৃসম কাতারের ব্যবসা নিশ্চিৎ করার পাশাপাশি এর উপর নজরদারির সুযোগ থাকায় মধ্যপ্রাচ্যে হুমকির মুখে থাকা আল সৌদ পরিবার ব্যপক শক্তি অর্জন করবে।
তবে এই পাইপ লাইন টানার জন্য প্রথমেই দরকার সিরিয়ার ভূখন্ড।
কিন্তু মহা সমস্যা বাঁধে তখন যখন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদ পশ্চিমাদের প্রস্তাবিত এই গ্যসলাইন পরিকল্পনা বাদ দিয়ে ইরান - সিরিয়া পাইপলাইন প্রকল্প গ্রহন করেন।
#ইরান পরিকল্পিত এই ১০ বিলিয়ন ডলারের ইরান-ইরাক-সিরিয়া পাইপ লাইন চুক্তি অনুযায়ী ২০১৬ সালের মধ্যে ইরানের অত্যন্ত্য সমৃধ্য সাউথ পার্স গ্যসফিল্ড থেকে পাইপ লাইন টেনে নিয়ে ইরাক সিরিয়া হয়ে ভূমধ্য সাগরের নিচ দিয়ে সাইপ্রাস হয়ে ইউরোপে গ্যস প্রবেশ করবে। এবং কাশ্পিয়ান সাগরের তীরবর্তী রাশিয়ান গ্যসফিল্ড গুলো থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে রাশিয়াও মুল লাইনের সাথে সংযুক্ত থাকবে।
এই পাইপ লাইনের ফলাফল হবে নিম্ন রুপ:
১। পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ট দেশ গুলোর গ্যস রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে ধ্বস নামবে। তাতে এ অন্চলে অর্থনৈতিক মন্দার আশংকা।
২। ইউরোপের বাজারে ঢোকার কাতারের বিশাল স্বপ্নের পরিসমাপ্তি। সেই সাথে কাতারে বিনিয়োগ কারি মার্কিন কোম্পানি গুলোর স্বপ্ন ভঙ্গ।
৩। #ন্যটো ভুক্ত দেশ গুলো রাশিয়ার আওতা থেকে বেরিয়ে আসার যে স্বপ্ন দেখছে তা ধূলিস্যাৎ হয়ে যাবে।
৪। ইউরোপের জ্বালীনি বাজারে রাশিয়া তার অবস্থান ধরে রাখবে ফলে বাধ্য হয়ে ইউরোপিয়ান দেশ গুলো আমেরিকার বলয় থেকে বেরিয়ে ইরান-রাশিয়া বলয়ে ঢুকবে এবং অফিশিয়ালি আমেরিকা তার সুপার পাওয়ারের মুকুট হারাবে এবং তা শোভা পাবে রাশিয়ার মাথায়।
৫। মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী রাস্ট্রে পরিনত হবে ইরান।
৬ । সৈরাচারী আল সৌদ এবং কাতার রাজ পরিবার ক্ষমতা ক্রমশই কমতে থাকবে এবং এক সময় পতন ঘটবে।
ফলে,
৭। মধ্যপ্রাচ্যে প্রধান মিত্র আল সৌদ না থাকায় ইসরাইলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা অত্যন্ত কস্টকর হবে।
পর্যালোচনার শেষে এটি স্পস্ট যে , যদি আসাদ টিকে যায় তবে ইউরোপের জ্বালানি বাজারের নিয়নত্রন চলে যাবে ইরান- রাশিয়া জোটের হাতে। বাধ্য হয়ে ইউরোপ তাদের বাধ্যগত থাকবে।বিশ্ব নিয়নত্রন করবে ইরান- রাশিয়া অক্ষ।
আর যদি আসাদের পতন ঘটে তবে ইউরোপের গ্যসের বাজার কাতারের তথা মার্কিন জ্বালানী কোম্পানি গুলোর হাতে চলে যাবে। এবং পূর্বের চেয়েও নির্বিঘ্নে বিশ্ব শাসন করবে সৌদী - আমেরিকান অক্ষ যা ইসরাইল কে দেবে বিশ্বের বুকে নিশ্চিন্তে টিকে থাকার গ্যরান্টি।
{পোস্টটি সংগ্রহীত}


Download Title:

Tags:
New,Movies,Free Download, HD, mp4, latest Movies, hindi, movies, bollywood best, action, sex, blogger , wordpress, tutorials, 

Links

কোন মন্তব্য নেই

Thanks for your comment !

Blogger দ্বারা পরিচালিত.